মুসলিম ব্যক্তিত্ব

গৌরবময় ব্যক্তিত্ব। মাওলানা তাকী উসমানী

গৌরবময় ব্যক্তিত্ব। মাওলানা তাকী উসমানী

গৌরবময় ব্যক্তিত্ব

মূল : মাওলানা তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

কিছুদিন আগে ইসলামী জাহানের যেসব অত্যন্ত মর্যাদাবান আলেমে দীন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, তাদের মধ্যে ভারতের প্রখ্যাত ফকীহ জনাব মাওলানা কাযী মুজাহিদুল ইসলাম কাসেমী নাম তালিকার শীর্ষে। তিনি আমাদের যুগের সেইসব গৌরবময় ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাদের খেদমত কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়।
কয়েক বছর ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁকে যে ঈমানী শক্তি, অসাধারণ মনোবল ও খেদমতের নেশা দান করেছিলেন, তার বদৌলতে তিনি সেই মারাত্মক ব্যাধি সত্ত্বেও নিজের ইলমী, ফিকহী ও তালীমী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলেন। রোগের প্রচণ্ডতা তাঁর কাজের গতিতে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইলমী ও দীনী খেদমতে ব্যস্ত থেকেই তিনি অবশেষে আপন প্রভুর সান্নিধ্যে গিয়ে মিলিত হলেন । ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীয়ুন ।
হযরত মাওলানার নাম আমি সর্বপ্রথম ১৪০০ হিজরীর শেষ ভাগে শুনেছিলাম, যখন বড় ভাই হযরত মাওলানা মুফতী রফী উসমানী সাহেবের সাথে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সুযোগ পেয়েছিলাম। ডারবানে অবস্থানকালে সেখানকার মুসলমানরা মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম সাহেবের নাম অত্যন্ত সম্মানের সাথে উচ্চারণ করেন এবং জানালেন যে, তিনি কিছুকাল এখানে অবস্থান করে গিয়েছেন। মুসলমানরা তাঁর কাছে খুবই উপকার পেয়েছে। আমার প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদ শুআইব উমর সাহেব (ডারবানের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, পরে তিনি আমাদের দারুল উলূম থেকে ইসলামী শিক্ষাও লাভ করেছেন।) হযরত মাওলানার কাছে বিশেষভাবে শিক্ষা নিয়েছিলেন এবং তাঁর কাছে উত্তরাধিকার আইন ভালোভাবে শিখে নিয়েছিলেন। তিনি বিশেষভাবে তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বীকার ও তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। হযরত মাওলানার সাথে এভাবে পরোক্ষ পরিচয় তো হয়ে গিয়েছিল এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতের আগ্রহও ছিল। কিন্তু তাঁর সাথে সাক্ষাত প্রথম হয় সেই সময়, যখন তিনি পাকিস্তানে শুভাগমন করেন। কয়েকবার সাক্ষাতের পরেই অনুমান করা গেল যে, তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে অসাক্ষাতে যা কিছু শুনেছিলাম, তা আসলেই সত্য। হযরত মাওলানা ছিলেন ভারতের বিহার প্রদেশের বাসিন্দা। রাজধানী পাটনায় সেখানকার ওলামায়ে কেরাম ইমারাতে শরীয়া নামে ইসলামী বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনি ছিলেন সেটার প্রাণপুরুষ।
আল্লাহ তাআলা তাঁকে দীনের খেদমতের নতুন নতুন উপায় বের করার জন্য এক অভিনব স্বভাব দান করেছিলেন। সেমতে তিনি বর্তমান যুগের নতুন মাসআলাসমূহ নিয়ে ফিকহী আলোচনা ও গবেষণার জন্য ১৯৮৯ এ মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী (ভারত) নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং সেটার মাধ্যমে ভারতের তরুণ ওলামায়ে কেরামের মধ্যে অনুসন্ধান ও গবেষণার আগ্রহ ও প্রেরণা সৃষ্টি করেন। তিনি প্রতি বছর ভারতের কোন শহরে একটি দেশব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠান করতেন। সম্মেলনের জন্য গবেষণাকামী মাসআলাসমূহ কয়েক মাস আগে নির্বাচন করে সেসব বিষয়ে ওলামা ও ফুকাহায়ে কেরামের দ্বারা রচনাবলী লেখানো হতো এবং বার্ষিক সম্মেলনে সেসব রচনার ওপর সাধারণ আলোচনা হতো। আর সবশেষে সেসব বিষয়ে সম্মেলনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবসমূহ অনুমোদন করা হতো। আমিও দুইবার সেসব সম্মেলনে যোগদানের সুযোগ লাভ করেছি। একবার হায়দারাবাদ দাক্ষিণাত্যে ও আরেকবার পাটনায়। বরং হযরত মাওলানা তাঁর সুধারণা ও স্নেহের কারণে উভয় সম্মেলনের সভাপতিত্বের মর্যাদাও এ অধমকে দান করেছিলেন। উভয় সম্মেলনে এটা দেখে আনন্দ হলো যে, হযরত মাওলানা বিশেষ করে ভারতের সব এলাকার তরুণ ওলামায়ে কেরাম আলোচনা ও গবেষণার যে কাজে লাগিয়েছেন, তারা তাতে অত্যস্ত উৎসাহ উদ্দীপনা ও আগ্রহের সাথে অংশ গ্রহণ করছেন।
মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী (ভারত) এরই পক্ষ থেকে তিনি ‘বহস ও নজর’ নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা চালু করেছিলেন। এতে বিশেষ করে নতুন ফিকহী মাসআলাসমূহের ওপর সমকালীন আলেমদের গবেষণামূলক নিবন্ধসমূহ প্রকাশিত হতো এবং এভাবে ‘বহস ও নজর’-এর ভলিউমসমূহের আকারে ইলমী ও ফিকহী বিষয়সমূহের মূল্যবান ভাণ্ডার আল্লাহ তাআলার রহমতে সংরক্ষিত হয়ে গেছে। এজন্য পুরো কৃতিত্ব মরহুম মাওলানারই প্রাপ্য।
জেদ্দায় মুনাজ্জামাতুল মুতামারিল ইসলামীর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সেটার অধিবেশনসমূহ যোগদানের সময় আমি অনুভব করলাম যে, তাতে ভারতের আলেমদের মধ্যে কেউ আমন্ত্রিত হন না। তাই আমি ওটার মহাসচিব শায়খ জেব বলখুজাকে বলে মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম কাসেমী সাহেবকে বিশেষভাবে আমন্ত্রিত করালাম। তারপর থেকে তিনি প্রতি বছর অধিবেশনে যোগ দিতেন। একবারও তিনি অনুপস্থিত থাকতেন না। এভাবে তাঁর সাথে বার্ষিক সাক্ষাতের একটি উপলক্ষও তৈরি হয়ে গেল। তিনি মাজমাউল ফিকহিল ইসলামীর কাজে বিশেষ আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটাতেন, এজন্য নিবন্ধসমূহ লিখতেন, পর্যালোচনায় অংশ নিতেন এবং সম্মেলনে যেসব আরব আলেম অংশগ্রহণ করতেন, তাদের মধ্য থেকে বিশেষ মনীষীকে নিজের মাজমাউল ফিকহিল ইসলামীর সম্মেলনগুলোতে পালাক্রমে দাওয়াত দিতেন। এভাবে ক্রমে ক্রমে আরব আলেমদের মধ্যে হযরত মাওলানার পরিচিতি গড়ে ওঠে একজন জ্ঞানী গবেষক হিসেবে। ফলে আন্তর্জাতিক ফিকাহ একাডেমীর আরব আলেমদের মধ্যেও তাঁর বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা অর্জিত হয়।
তিনি মুসলিম উম্মাহর জন্য রচনাবলীরও এক মূল্যবান ভাণ্ডার রেখে গিয়েছেন৷ ‘ইমারাতে শরীয়ী’র মাধ্যমে তিনি বিচারের খুবই অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন এবং তাঁর জন্যই যথাযোগ্য ছিল ইসলামের বিচারব্যবস্থার ওপর কলম ধরা। তাই তিনি ‘ইসলামী আদালত’ নামে অত্যন্ত বিস্তারিত গ্রন্থ রচনা করেন। যা এ বিষয়ে উর্দূতে একমাত্র বিস্তারিত গ্রন্থ। এতে তিনি বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে অত্যন্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের সাথে আলোচনা করেছেন এবং এটার বিন্যাস ও গাঁথুনিতে বর্তমান যুগের রুচির প্রতি লক্ষ রেখেছেন। তাছাড়া তিনি আরবীতে ফিকহুল মুশকিলাত, আল ওয়াকফ, আজ্জাবায়েহ ইত্যাদি শিরোনামে তাঁর রচনাবলী অত্যন্ত মূল্যবান গবেষণাসমৃদ্ধ। উর্দূতে খুতুবাতে বাঙ্গলোর, ফাতাওয়া ইমারাতে শরঈয়া এবং কয়েকটি ফিকহী বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাঁর পুস্তিকাসমূহ ওলামায়ে কেরামের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
প্রায় চার বছর আগের কথা। আমি হযরত মাওলানার অসুস্থতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত খবর পেয়েছিলেন। বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি। বাহরাইনে মাজমাউল ফিকহিল ইসলামীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সেখানে তাঁর সাথে সাক্ষাত হয়। তখন তিনি বললেন, তার ক্যান্সাররোগ ধরা পড়েছে। শুনে আমি প্রায় কেঁপে উঠলাম। কিন্তু তিনি রোগটির কথা এমনভাবে বললেন যেন সর্দিকাশি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্, তাঁর চলনে বললে সেই রোগের কোন প্রভাব অনুভূত হচ্ছিল না। আমি তাঁর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলাম। তিনি বললেন- আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন। ডাক্তার সাহেবরা তো এটাকে মরণব্যাধি সাব্যস্ত করেন এবং চিকিৎসায় তেমন লাভ হয় না বলেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলার দয়া ও মেহেরবানীতে আমার ব্যাপারে চিকিৎসা উপকারী প্রমাণিত হচ্ছে। আমাকে সফর থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু দেখুন, আমি দীর্ঘ সফর করে এখানে এসেছি এবং আলহামদুলিল্লাহ আমার জরুরী কাজ চালু আছে। তখনই তিনি আমাকে জানালেন যে, তিনি কাযী আল-ফোরকানী (৬৪৬ হি.) রহ.-এর কিতাব ‘সিনওয়ানুল কাযা ও উনওয়ানুল ইফতা’ এর টীকা লিখছেন। সেটার পাণ্ডুলিপি তখনো সফরে সাথে ছিল। তিনি বলতে লাগলেন, আমার কামনা বিচারব্যবস্থা সম্পর্কিত এ মূল্যবান কিতাবখানা আমার জীবদ্দশায় যেন প্রকাশিত হয়। তিনি আমাকে উক্ত কিতাবের ভূমিকা লেখার আদেশ দেন। কিতাবখানা দিল্লীর কাষীউল কুযাত বা প্রধান বিচারপতির লেখা এবং তা তখনো প্রকাশিত হয়নি। প্রথমবারের মতো তা হযরত মাওলানার টীকাসহ কুয়েতের আওকাফ মন্ত্রণালয় চারখণ্ডে প্রকাশ করে। কিতাবখানার প্রতি তাঁর অনুরাগ থেকে অনুমান করা যায় যে, তিনি প্রচণ্ড রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও জ্ঞান গবেষণায় কত উঁচু মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। এরপরেও তিনি বড় বড় সফর করেন। সেই অবস্থায় আমেরিকায়ও গেলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও।
পরের বছর মাজমাউল ফিকহিল ইসলামীর অধিবেশন বসে রিয়াদে। সেখানেও তাঁর সাথে সাক্ষাত হয় এবং আল্লাহর মেহেরবানীতে তাঁকে ভালো অবস্থায় দেখলাম। মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী (ভারত)-এর কার্যক্রম যথারীতি চলতে থাকে। রিয়াদে সাক্ষাতের সময় তিনি অত্যন্ত জোরালো ভাষায় আদেশ করেন যে, দুই মাস পরে পাটনায় তাঁর মাজমা’র যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে, তাতে যেন আমি গুরুত্বের সাথে যোগদান করি। সেমতে ঈদুল আযহার পরে ওয়াদা অনুযায়ী দিল্লী ও সেখান থেকে পাটনায় গেলাম এবং সম্মেলনে যোগ দিলাম। তখন তাঁর অসুস্থতার আলামত দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু তিনি স্টেজের সন্নিহিত একটি কামরায় চৌকি ফেলে শুয়ে শুয়ে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছিলেন। সম্মেলন চলার সময়ে তিনি একবার আমাকে কাছে ডাকলেন এবং বলতে লাগলেন-আমার জীবনের আর কয়দিন বাকী আছে জানি না। তবে আলাহমদুলিল্লাহ, আমি নিশ্চিত যে, এসব তরুণ যারা আমার আদেশে একাজে নিয়োজিত রয়েছেন, ইনশাআল্লাহ আমার পরেও তা অব্যাহত রাখবেন। কিন্তু তাদের জন্য প্রয়োজন হবে মুরব্বীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও নির্দেশনা।
ঘটনাক্রমে মুহতারাম উস্তাদ হযরত মাওলানা সুবহান মাহমুদ সাহেব কুদ্দিছা ছিররুহুর ওফাতের আকস্মিক সংবাদ শুনে আমাকে সফর সংক্ষিপ্ত করে করাচীতে ফিরে আসতে হলো এবং আমি সেই সম্মেলনের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলাম না। সেটাই হযরত মাওলানার সাথে আমার শেষ সাক্ষাত হয়ে গেল।
মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম সাহেব শুক্রবার ৯ অক্টোবর ১৯৩৬ মোতাবেক ২০ শাবান ১৩৫৫ হিজরীতে বিহার প্রদেশের দরভাঙ্গা জেলার জালে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন বিহারে এবং ১৯৫৫ খৃস্টাব্দে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর ইঙ্গিতে তিনি ১৯৬৪ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত জামেয়া রাহমানিয়া মুঙ্গেরে দরসদানের দায়িত্ব পালন করেন। বিহারের আমীরে শরীয়ত হযরত মাওলানা মিন্নাতুল্লাহ রাহমানী ১৯৬১ এ তাঁকে ইমারতে শরীয়ার কাযী নিযুক্ত করেন এবং তারই মাঝখানে তিনি নায়েবে আমীরে শরীয়ত পদেও অধিষ্ঠিত থাকেন। ইমারতে শরীয়ার ব্যবস্থাপনা ফলপ্রসূ ও কার্যকর করতে তাঁর অবদান ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তাছাড়া ১৯৭২-এ যখন ভারতের ওলামায়ে কেরাম মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন, তখন হযরত মাওলানা ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অবশেষে ২০০০-এ হযরত মাওলানা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী কুদ্দিছা ছিররুহুর ইন্তেকালের পর তিনি সেটার সভাপতি মনোনীত হন। কিন্তু শেষ দিকে তার সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী (ভারত) যা ১৯৮৯-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং হযরত মাওলানার ওফাত পর্যন্ত সেটার তেরটি ফিকহী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এগুলোর মাধ্যমে চল্লিশটি শিরোনামে গবেষণামূলক নিবন্ধ তৈরি করা হয় এবং প্রস্তাবসমূহ প্রকাশ পায়।
এপ্রিল ১৯৯৮ মোতাবেক জিলহজ্জ ১৪১৮ হি. থেকে তিনি লাগাতার মারাত্মক ব্যাধির শিকার ছিলেন। কিন্তু ১১ মার্চ ২০০২ মোতাবেক জিলহজ্জ ১৪২২ হি. পর্যন্ত তিনি নিজের কাজকর্ম চালু রাখেন। ১১ মার্চ রোগ প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়, দিল্লীর এপোলো হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয় এবং সম্ভব সব রকমের চিকিৎসা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ৪ এপ্রিল ২০০২ মোতাবেক ২১ মহররম ১৪২৩ হিজরী জুমআর রাতে মাগরিবের নামাযের অব্যবহিত পরেই তার সুনির্দিষ্ট সময় এসে যায় এবং তিনি সেই বরকতময় রাতে আপন প্রকৃত প্রভুর সান্নিধ্যে গিয়ে মিলিত হন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিয়ূন
ভাষান্তর : আবু তাসনীম উমাইর
আমাদের সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।
সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube চ্যানেল Rahe Sunnat Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button