
আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর অমূল্য বাণী
হাটহাজারী মাদ্রাসার মাহফলিে উলামা মাজলসিে উলামা হজরতগন শরিকি, বদেআত করবনে না, ওরশ করবনে না ওরশে শরীক হবনে না।
ফাতহো শরীফ ও অগয়রার নাম দয়িে শরিকি, বদেআত, করবনে না। কয়িাম মলিাদ যা আমাদরে দশেে প্রচলতি আছে ইয়া,, নবী সালামু আলাইকা পড়,ে এটা করবনে না। এটা দূরূদ নয় আমরা দূরূদ পড়তে নষিধে করি না। রাসুলল্লাহ (সাঃ) এর পক্ষ হতে যে দূরূদ শরীফরে প্রমান সহহি হাদসি শরফিে আছে সে সকল দূরূদ শরীফ পাঠ করবনে। তারা আমাদরেকে ওহাবী বলে আমরা আহলুস সুন্নাতে ওয়াল জমায়াহ। যটো আমাদরে র্বতমান প্রধান মন্ত্রী শখে হাসনিা ব্যাক্ত করছেনে। যদি আল্লাহ তাআলা কায়দায়ে বুগদাদী, নূরানী-নাদয়িা পড়াইবার তৌফকি দান করনে, তাহলে বুঝবনে আপনার ইলমে আল্লাহ তাআলার দরবারে মাকবুল হয়ছে।ে আর যদি তা না হয় তাহলে মনে করবনে আপনার ইলমে আল্লাহ তাআলার দরবারে মাকবুল হয় নাই।
তালীমাতে লগেে থাকবনে, শরিকি, বদেআত, করবনে না। প্রয়োজনে মাটি কটেে বদল্লিা দয়িে হলওে চলবনে। তাও শরিকি, বদেআত, করবনে না। পারবনে তো ইনশাআল্লাহু তায়ালা? আপনাদরেকে আলমে ও মৌলুভী বানয়িে দয়ো হলো ইলমেরে ইজ্জত করবনে। শরিকি বদেআত করে চলবনে না। র্বতমানে যত বদেআতী আছে তারা প্রায় সকলইে মুশরকি। আমরা যখন কোন এলাকায় যায় তথাকার ত্বলাবা ও উলামাগন আমাদরে সাথে সাক্ষাৎ করতে লজ্জা বোধ করনে। তাই আমাদরে সাথে সাক্ষাৎ করনে না এমন করবনে না এমন করবনে না তো? ঘররে দরজায় একটা ছোট কুড়ে ঘর বঁেধে নয়িে এলাকার ছোট ছলেদেরে পড়াবনে আল্লাহ তাআলা অভাব দূর করে দবেনে তথাপওি শরিকি বদেআত করবনে না মুশরকি ও বদেআতী দল চরি জাহান্নামী।
আমার শায়খে হাতয়িার হযরত (রহ.) বলনে : ১। আপন আপন ইলমী ও আমলী ইস্তে দাদ নয়িে নজি নজি দ্বীনি মহেনতরে ময়দানে এক নম্বর তরকিায় ছবর ইসতখিলাস ইস্তগেনা ও এছতক্বেলালরে সাথে জমে বসে থাকার চষ্টো করা। কোন অবস্থায় এর থকেে বন্দিু মাত্রও না হটা।
২। ইস্তদোদ অনুযায়ী মাকতাবে সাবাহী, করিাত খানা, র্উদু খানা, জামায়াত খানা, আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে পড়াতে থাকা।
৩। আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে তালীম ও তাবলীগে লগেে থাকা, সম্ভব হলে কছিু কাছবে হালালরে (হালাল উর্পাজন) ব্যবস্থা রাখা।
৪। উস্তাদরে বতেন নদিৃষ্ট না করলে ভালো হয়, প্রত্যকেইে ইস্তদোদ অনুযায়ী, শক্তমিত মহেনত করা। কহে যদি এখলাছরে সাথে লওিয়াজহল্লিাহ মহেনত করতে চান, তাকে মাহরুম না করা। তবে যনিি লওিয়াজহল্লিাহ তালীমাতে লগেে থাকবনে, তার র্সাবকি দায়ভার জরুরত মাদ্রাসা র্কতৃপক্ষ নজি জম্মিাদারীতে নয়ো একান্ত জরুরী। নইলে কয়িামতরে দনি আল্লাহ তায়ালার নকিট পাকড়াও অবশ্যই হতে হব।ে যার নজরি ও প্রমান পৃথবিীতে বহু বদ্ধিমান। যথাঃ শাইখুল হন্দি মাহমুদুল হাসান দওেবন্দী (রহ.) এর বতেন নর্দিষ্টি ছলিোনা। এবং তার উস্তাজে মুহতারাম মোল্ল্যা মাহমুদ (রহ.) ও নর্দিষ্টি বতেন ভুক্ত দওেবন্দরে র্কমচারী বা উস্তাদ ছলিনে না। তথাপওি হুজ্জাতুল ইসলাম কাসমে নানুতুবী রাঃ মোল্ল্যা মাহমুদ (রহ.) এর জরুরত পুরা করতনে। এবং পরর্বতীতে শাইখুল হন্দিে (রহ.) এর জরুরত ও মাদ্রাসা র্কতৃপক্ষ লক্ষ্য রাখতনে। এবং তা পুরা করতে চষ্টো করতনে। এটাকইে বলে সলফ ও নমুনায়ে আসলাফ ও সাহাবা নমুনা। তথা :
احب لأخيك ما تحب لنفسك
নজিরে জন্য যা ভালোবাসো”অপররে জন্য ও তাই ভালোবাসব’ে
وَيُؤثِرُونَ عَلٰى اَنفُسِهِمْ وَلَوْكَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ الحشر ـ ص ـ ٥٤٣ ـ آیت ٩
র্অথ : অভাব গ্রস্থ অবস্থাও আরাম ভোগে অপরকে প্রাধান্য দয়ে। যদওি নজিে অত্যন্ত অসহায়।
এটাকইে বলে উম্মাতরে কল্যান কামনা ও আসলাফরে নমুনা। আর এর বপিরীতটাকে বলে খলফ। এজন্যই তো মুফতি আযম বাংলাদশেী হযরত (রহ.) মখেলরে বড় হুজুর আল্লামাহ শাইখুন নাহু (রহ.) কে দতিনে প্রতি মাসে দশ টাকা যার মূল্য র্বতমান ২০২৩সালে হয় ৩২হাজার টাকা। আর হাতয়িার হযরত এবং অন্যান্য উস্তাদদরে কে দতিনে পাঁচ টাকা যার মূল্য র্বতমানে আসে ১৬হাজার টাকা। এটাই ছলিো আমাদরে র্পূব পুরুষদরে গোপনীয় সহযোগতিা যার নামরে উপর বলছি মোরা আসলাফরে নমুনা। এর পরও সর্তক থাকতে হবে যনে উস্তাদদরে দলি হতে আল্লাহ তায়ালার তাওয়াক্কুল হটে না যায়। এবং পর নর্ভিরশীল হয়ে না পড়,ে তাই আল্লাহ-তাআলাই ব্যবস্থা করছেনে, আল্লাহ তাআলাই তাওফীক দয়িছেনে, তাই ব্যবস্থা হয়ছে।ে এই এক্বীন থকেে যনেো দলি হটে না যায় সদেকিে গভীর নজরদারী করতে হবে আর আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে কোন পরীক্ষা আসলে যনেো ভঙ্গেে না পড়,ে ও ঈমান হারা না হয়ে যায়। ধর্যৈরে বাঁধ যনেো ভঙ্গেে না যায়, সদেকিে গভীর নজরদারী করতে হব।ে
“তারাই মোদরে র্পূব পুরুষ, পারলে দখোও এমন মানুষ।”
সকলইে করবনে কুরবানী ও মুজাহাদা। কউে করবনে জান ও সময়রে কুরবানী।
মালওয়ালা করবনে মালরে কুরবানী। এটাই ছলিো সাহাবাওয়ালী জন্দিগেী। এর ই বপিরীত খলফরে চাবকিাঠ।ি
৫। ওস্তাদ ৬ গুনে গুনান্বতি হওয়া জরুরী (১) মোখ লাছ (২) মুত্তাকী (৩) ইনসান সাজ (৪) মুত্তাবয়িে সুন্নাত (৫) মুস্তাকমি আলা ত্বরীকে সালাফে সালহেীন (৬) এযুগরে প্রচলতি ত্বরীকা থকেে বমিুখ হতে হব।ে
৬। ওস্তাদ ত্বলাবাদরে জন্দেগেীর হফোজত, আওকাতরে হফোজত, আমালরে হফোজত, ফকিরিরে হফোজত করা, র্সবাবস্থায় নজি মুরব্বীর সঙ্গে সর্ম্পক রখেে মাশওয়ারা করে চলা।
৭। তালবিে ইলমদরে, তালীম, তাআলুম তারবীয়াত ও তাবলীগরে মাধ্যমে হাককিী আলমে ও মহল গড়ার তরীকা শখিাতে থাকা।
৮। ত্বলাবা গড়ে নয়িে তাদরে দ্বারা মাদ্রাসা চালানোর ফকিরি রাখা।
৯। খালছে নসহিাতরে মাধ্যমে উস্তাদ ও ত্বলবেে ইলমদরে দলিে ছলফে সালহেীনদরে তরীকার আজমত বসাতে থাকা। যাতে সে মওত র্পযন্ত উহার উপর জমে থকেে দ্বীনি মহেনতরে জন্য তরৈি হয়।
১০। ত্বলবেে এলমদরে জন্য সহীহ তালাফফুজ, ইলতজোমে ক্বরোত, তলোওয়াত, তাহরীররে এহতমোম করা।
১১। চার ছবকরে এহতমোম করানো, প্রত্যকে ছবকে চার তরতীবরে সাথে মহেনাত করানো। ক) ইবারাত ছহীহ করে পড়া। খ) সালসি (সহজ) সহীহ তরজমা মুখে এবং কলমে আনা। গ) তারকীবরে উপর নজর রাখা। ঘ) মতলব শোনা এবং শোনানো।
১২। পড়ার সময় চার জনিসিরে রয়োয়াত এবং এহতমোম করা। ক) গাহরি (গভীর) নজরে দখো। খ) দলি লাগয়িে শোনা। গ) বুঝে শুনে বলা। ঘ) গাওর, ফকিরিরে সাথে শোনা এবং বলা।
১৩। ইবতদোয়ী (র্উদুখানা থকেে শরহে জামি র্পযন্ত) তালবিে ইলমদরে বশেি থকেে বশেি পড়া এবং লখোর মধ্যে মশগুল রাখা।
১৪। আওছাত দারজার (শরহে বকোয়া থকেে মশেকাত র্পযন্ত) তালবিে ইলমদরে বশেি থকেে বশেি গাওর ও ফকিরিরে মধ্যে মাসরুফ (লপ্তি) থকেে আমকিুন্ নজর, সারফিুল ফাহাম, ওসয়িুল খয়োল হাসলি করনো।
১৫। কুতুববনিী ছাড়াও র্সব সময় কতিাবরে ফকিরি করা, ফছল-ফছল, কতিাব কতিাব, ফন-ফন হসিবেে মহেনত করা।
১৬। তালবিে ইলমরে জন্য দুনয়িার ফকিরি এবং তায়াল্লুকাতে দুনয়িাবী তরক করা আবশ্যক এবং তায়াল্লুকাতে মাহমুদ বাড়াতে থাকা। কোনো অবস্হার উপর মুতাআচ্ছরি (প্রভাবতি) না হওয়া।
১৭। নজি নজি ময়েদেরে নজি ঘরে লখো পড়া করানো। ছলেদেরেকওে নজিরে কাছে অথবা সালাফে সালহেীনরে তরীকায় রখেে গড়ানো।
, ১৮। মহল্লার মহলিাদরে মাঝে মাঝে নসহিতরে মাধ্যমে দ্বীনদ্বার বানানোর ফকিরি করা।
১৯। প্রত্যকে কাজে (আমল)ে সুন্নাত ও তারীকায়ে সলফে সালহেীনকে সামনে রাখা।
২০। দ্বীনি খদেমত করে পয়সার ফকিরি না করা। মালদার ও দুনয়িাদার থকেে দূরে থাকা একান্ত জরুরী
২১। উস্তাদ, ত্বলাবা ও মুহব্বিীনদরেকে মালদার ও দুনয়িাদার থকেে দূরে থাকা শখিানো।
২২। মহল ও এলাকা গড়ার লক্ষ্যে মৌসুমী মাহফলি যথা শীতকালীন আমল, কোরবানী, শববেরাত, রমজান, ইতকোফ, আশুরা ইত্যাদি বষিয়ে বয়ানরে ব্যবস্থা করা।
২৩। প্রতটিি ঘরে দ্বীনি পরবিশে হয় এর জন্য মহেনত করা র্অথাৎ ১) ঈমান, ইয়াকীন ২) ইলমে ৩) আমল ৪) ইখলাস ৫) আদব আখলাক ৬) তাকওয়া ৭) তাওয়াক্কুল ৮) ছবর-ইস্তগেনা ৯) ইস্তকোমত ১০) সুন্নত নামাজ, রোজা, তলোওয়াত, তা’লমি, সালাম, ঢলিা কুলুখ, মসেওয়াক ইত্যাদি আমল জন্দিা করার কোশষে করা।
২৪। যারা মাদ্রাসা ছাড়া অন্যস্থানে আছনে তারাও নজি নজি ইলমে আমল নয়িে ঈমান ইয়াকীন ও ইখলাছরে সাথে তা’লমি-তায়ালুম, দাওয়াত ও তাবলীগরে মাধ্যমে সুন্নতরে মহল গড়তে থাকা।
দায়মেী ফকিরি, দোয়া রোনাজারীর মাধ্যমে (খুছুছান শষে রাত)ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন থকেে উল্লখেতি উমুর গুলি অজুদে আসার ফয়সালা চাইতে থাকা।
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আহমদ শফী রহ. বাণী, ইসলামিক স্কলার বাংলাদেশ, হাটহাজারী মাদরাসা, দীনি শিক্ষা, আলেমদের উপদেশ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, শাইখুল ইসলাম আহমদ শফী, ইসলামের দৃষ্টিতে নেতৃত্ব, ইসলামী রাজনীতি, আকাবিরে দেওবন্দ, উলামায়ে হক, দাওয়াত ও তাবলীগ, তাসাউফ ও ইখলাস
- আমাদের সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।
- সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube চ্যানেল Rahe Sunnat Media
-
ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর আমল পড়তে ক্লিক করুন।