ইবাদতস্বাস্থ্য সুরক্ষা

সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস ও বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার ফজিলত

সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস ও সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার ফজিলত

সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ার ফজিলত

হাদীস : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে খুবায়েব (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় কুলহু আল্লাহু আহাদ (সূরা ইখলাস), কুল আউযু বি রাব্বিল ফালাক (সূরা ফালাক) ও কুল আউযু বি রাব্বিন নাস (সূরা নাস) তিনবার করে পড়ো। তাহলে এগুলো (সবকিছু থেকে) তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-২২৬৬৪

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

হাদীস : হযরত আবু মাসউদ আল-বাদরী (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন; তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এক রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দু’টি আয়াত (আমানার রাসূলু বিমা উনযিলা, আয়াত : ২৮৫-২৮৬) পাঠ করে তা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০০৯, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮০৭

৪। ইস্তেগফার তিনবার, দরুদ শরীফ তিনবার, সূরা ফাতেহা চারবার, সূরা ইখলাস দশবার, আয়াতুল কুরসী একবার, আমানার রাসূল সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত একবার।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

হাদীস : হযরত আবু মাসউদ আল-বাদরী (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, আয়াতদ্বয় তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। বুখারী, হাদীস নং-৫০০৯, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮০৭

হযরত ইমাম নববী (রহ.) বলেন, আয়াতদ্বয় যথেষ্ট হওয়ার অর্থ হলো, সে রাতের সমস্ত মুসীবত থেকে পরিত্রাণ দানকারী হিসেবে যথেষ্ট হবে অথবা কিয়ামুল লাইল তথা রাতের ইবাদতের জন্য যথেষ্ট হবে। -আল-আযকার, পৃ.৯৩

শেষ দু’টি আয়াত এই,

اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓىِٕكَتِهٖ وَ كُتُبِهٖ وَ رُسُلِهٖ ۫ لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ۫ وَ قَالُوْا سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ؗۗ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَ اِلَیْكَ الْمَصِیْرُ۝۲۸۵ لَا یُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَ عَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَ اعْفُ عَنَّا ۥ وَ اغْفِرْ لَنَا ۥ وَ ارْحَمْنَا ۥ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ۠۝۲۸۶

অর্থ : রাসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে, যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার কাছে অতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে, আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমূহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোনো তারতম্য করি না। তারা বলে আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই হে আমাদের পালনকর্তা! তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আল্লাহ কোনো বান্দার উপরে তার ক্ষমতার অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। তার অনুকূলে রয়েছে সে যা-কিছু অর্জন করেছে, আর তার প্রতিকূলে রয়েছে যা কিছু সে কামাই করেছে। হে আমাদের প্রভু আমাদের পাকড়াও করো না, যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, হে আমাদের প্রভু! আর আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিও না, যেমন তুমি তা চাপিয়ে দিয়েছিলে তাদের উপরে যারা ছিল আমাদের পূর্ববর্তী। হে আমাদের প্রভু! আর আমাদের উপর তেমন ভার তুলে দিওনা যার সামর্থ্য আমাদের নেই। অতএব তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও, আর আমাদের তুমি রক্ষা করো, আর আমাদের প্রতি তুমি করুণা বর্ষণ করো, তুমিই আমাদের পৃষ্ঠপোষক। অতএব, অবিশ্বাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের তুমি সাহায্য করো। -সূরা বাকারা, আয়াত : ২৮৫-২৮৬

* বিপদ ও রোগ মুক্তির জন্যও কুরআন তেলাওয়াত করা যায়। কুরআনের প্রতিটি আয়াতই শেফা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button